৭ ঘণ্টায়ও সুপার বোর্ড কারখানার আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আসেনি
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় টি.কে. গ্রুপের মালিকানাধীন সুপার বোর্ড কারখানার আগুন দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ করছে।
এদিকে, আগুন নিভাতে গিয়ে অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহত সাত জনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন: ইসমাইল, শরীফুল ও হিরণ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির পাটের গোডাউনে আগুনের সূত্রপাত হয়।সেখান থেকে আগুন নদীতে নোঙর করে রাখা একটি পাটখড়ি বোঝাই ট্রলারে লেগে যায়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পার্টিকেল বোর্ড, পাটখড়ি, প্লাস্টিকের দরজা ও প্লাস্টিকের পাইপের মত দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে সরু রাস্তা আর পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
ঢাকা বিভাগ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন বলেন, 'দুপুর ১টা ১২ মিনিটে আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। প্রথমে আমাদের গজারিয়া স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও ১০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। বিকাল ৪টার দিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ ফোম টেন্ডার এবং রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট নিয়ে আসি আমরা। আমাদের বারোটি ইউনিট কাজ করছি, তবে এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।'
এ বিষয়ে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, কারখানাটিতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। এ ব্যাপারে আমরা একাধিক বার তাদের সতর্ক করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।'
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, 'অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।