ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হতে পারে ৪১৬ কারখানায়: শিল্পাঞ্চল পুলিশ
ঈদের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধে সমস্যা হতে পারে, এমন কারখানার তালিকা করেছে শিল্পাঞ্চল পুলিশ। তাতে দেখা গেছে, শিল্প পুলিশের আওতাভুক্ত এলাকায় অন্তত ৪১৬টি কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
এরমধ্যে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সদস্য কারখানা রয়েছে ১৭১টি, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সদস্য রয়েছে ৭১টি; এছাড়াও বস্ত্র খাতের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর সদস্য কারখানা রয়েছে ২৯টি।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সূত্রে আরও জানা জানা যায়, ঈদের আগে যাতে বেতন-বোনাস নিয়ে কোনো সমস্যা না হয়, এজন্য সোমবার প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ। সভা শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'কোনো গার্মেন্টসের মালিক বেতন ভাতা দিতে ব্যর্থ হলে বিকল্প কোনো উপায় বের করার জন্য মালিকপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।'
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রধান মো. মাহবুবুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা যে তালিকা তৈরি করেছি, আগামী দিনগুলোতে এ তালিকা আরও বাড়তে কিংবা কমতে পারে।"
"আমরা সজাগ আছি, আশা করছি ঈদের আগে কোনো সমস্যা হবে না," বলেন তিনি।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ'র এক্সিকিউটিভ প্রসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন, "অনেক কারখানায় পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ নেই। আবার ইনসেনটিভের বিপুল পরিমাণ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ছাড় করেনি। যার কারণে বেতন-বোনাস প্রদানে কিছু কারখানার সমস্যা হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের পক্ষ থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, বাস্তবে আর্থিক সংকটে রয়েছে তার চেয়েও বেশি সংখ্যক কারখানা। তবে আমরা এটি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"
বিজিএমইএ'র সভাপতি ফারুক হাসান টিবিএসকে বলেন, "যেহেতু ডিসেম্বরে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে, তার একটি ইমপ্যাক্ট তৈরি হয়েছে। একই সাথে ইনসেনটিভের সুবিধা কর্তন করা হয়েছে। এসব কারণে অনেক কারখানা মালিকের পক্ষে ঈদের আগে বেতন বোনাস দিতে সমস্যা হতে পারে।"
"আমরা ফিন্যান্স সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়েছি বকেয়া টাকা ছাড় করার জন্য," যোগ করেন তিনি।
অবশ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের তালিকায় থাকা সাভারের আশুলিয়া এলাকায় অবস্থিত ঐশী ডিজাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল ইসলাম সিদ্দিক টিবিএসকে বলেন, "আমাদের কারখানায় কোনো সমস্যা নেই। আমাদের কোনো বকেয়াও নেই। কেন আমাদের কারখানা নাম তালিকায় এসেছে জানি না।"
প্রসঙ্গত, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের আওতাধীন এলাকায় কারখানার সংখ্যা ৯,৪৬৭টি। এর বাইরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকার কারখানাও রয়েছে।