ঈদের কেনাকাটা: ব্র্যান্ডের দোকানে বিক্রি ভালো, কম সাধারণ দোকানে
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর নামি-দামি ব্র্যান্ডের দোকানগুলোর থেকে সাধারণ মানের বিপণিবিতানে ঈদের ক্রেতাদের সমাগম তুলনামূলক কম ছিল।
শুক্রবার বিকেলে দেখা যায়, পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ইয়োলো, জেন্টল পার্ক, আড়ং, টুয়েলভ ক্লথিং, আমব্রেলা-সহ ব্র্যান্ডের দোকানগুলোর প্রতিটি কাউন্টারে বিল দেওয়ার জন্য বড় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। কিন্তু সাধারণ দোকানে ক্রেতার উপস্থিতি কম ছিল।
বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের জেন্টল পার্কের শোরুম ম্যানেজার আল আমিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন, গতবছরের মতো এবারো ঈদে তাদের বিক্রি সন্তোষজনক।
আমব্রেলার ম্যানেজার বলেছেন, তারা ক্রেতাদের বাড়তি চাপ দেখতে পাচ্ছেন।
রাজধানীর মগবাজারে নবীন ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবির শোরুমে ক্রেতাদের অনেক ভিড় দেখা গেছে। এখানে ৫০০-১৫০০ টাকার মধ্যে পাঞ্জাবি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন টিবিএসকে বলেন, ব্র্যান্ডের পোশাক যারা কিনছেন তারা মূলত ধনী শ্রেণির। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
ঢাকার নিউমার্কেটের শাড়ির দোকানি ফেরদৌস আহমেদ টিবিএসকে জানিয়েছেন, দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক থাকলেও বেচাকেনা কম হয়েছে।
তিনি বলেন, গতবছরের তুলনায় এ বছর ৩০ শতাংশ কম বিক্রি হয়েছে।
ফেরদৌস বলেন, "আমাদের এ বছর পোশাক পাইকারি কিনতে ১৫ শতাংশ বেশি দাম দিতে হয়েছে। কিন্তু ক্রেতারা গত বছরের দামই বলে যার জন্য আমাদের পণ্যের লাভ খুব কম হচ্ছে।"
মগবাজারের নয়াটোলা এলাকায় একটি ছোট কাপড়ের দোকানের মালিক নাজমা বেগম বলেছেন, গত ঈদে ছুটির দিনে (শুক্রবার) ৫০ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হলেও এ বছর ১০ হাজার টাকারও কাপড় বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ৩০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের স্থানীয় ফ্যাশনের বাজারে ৭৫ শতাংশ বিক্রি হয়ে থাকে পহেলা বৈশাখ ও ঈদে।
সাধারণ মানের বিপণিবিতানে বিক্রি কমার কারণ হিসেবে মৌচাক মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী টিবিএসকে বলেছেন, ক্রেতাদের বড় অংশেরই জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে। এ কারণে এ ঈদে তারা পোশাক, জুতাসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনায় খরচ কমিয়ে দিয়েছেন।