গ্রীষ্মের শুরুতেই তীব্র তাপদাহের কবলে দক্ষিণ এশিয়া, বাংলাদেশও জ্বলছে
গ্রীষ্মের শুরুতেই খরতাপে দগ্ধ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া। বাংলাদেশও নিস্তার পাচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হচ্ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
আবহাওয়াবিদ মো. শহিদুল ইসলাম রোববার (২১ এপ্রিল) টিবিএসকে বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, পাবনায় ৪২ ডিগ্রি, কুষ্টিয়ায় ৪০ ডিগ্রি এবং যশোরে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর দুপুর তিনটায় ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, "পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমুহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।"
শহিদুল ইসলাম জানান, দেশের দুটি জেলা বাদে অন্যান্য অংশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই।
গতকাল রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিপুল সংখ্যক যানবাহন আর সবুজের অভাব থাকা ইটপাথরের এই নগরে এমন উচ্চ তাপমাত্রায় শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা দেখা দেয়। এটি এ মৌসুমে রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে সেটিকে অতি-তীব্র তাপদাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র এবং ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়।
এই অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে জনজীবন। প্রচণ্ড গরমে খেটে খাওয়া মানুষসহ আপামর জনতার নাভিশ্বাস উঠছে।
প্রচণ্ড তাপদাহে এরমধ্যেই দেশে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, শনিবার এদের একজন মারা গেছেন পাবনায়, অন্যজন চুয়াডাঙ্গায়।
পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকায় প্রচণ্ড গরমে মারা গেছেন সুকুমার দাস নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুকুমার নগরীর রূপকথা রোড এলাকার একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। তীব্র গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গায় মাঠে পাটের বীজ লাগানোর সময় অতিরিক্ত গরমে মারা যান জাকির হোসেন নামের এক কৃষক। শনিবার সকালে দামুড়হুদার ঠাকুরপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানায়।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শক্রমে এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে চলমান তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেখে আগামী কয়েকদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটলে অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে পুনরায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হতে পারে।
কৃষি ও পোলট্রি শিল্পের ক্ষতি
অতি-তাপপ্রবাহের কবলে পড়া চুয়াডাঙ্গায় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৪০-৪২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। টিবিএসের স্থানীয় প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, এতে ফসলের মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে ধান ও সবজি গাছ। ফলে দেখা দিতে পারে এ মৌসুমে ফলন বিপর্যয়। অতিরিক্ত তাপের কারণে ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। হেক্টরের পর হেক্টর জমির সবজি শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফুলকপি, লালশাক, পুঁইশাক, ঢেড়সসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
খরতাপের কারণে ধানের থোড় থেকে ফুল বের হওয়ার পর শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে মাঠের পর মাঠ। ধানের ফলনে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এতে। অনেক কৃষক ধান পাঁকার আগেই জমি থেকে ধান কেটে ফেলছেন। মেশিনে সেচ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। পানি দেওয়ার অল্প সময় পর মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, "চুয়াডাঙ্গায় ফসলের সহনশীলতাঁর চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। এতে মাঠের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ মৌসুমে কৃষকরা জেলায় ৩৫ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করছেন। সবজি চাষ হচ্ছে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টন ধান ও সবজি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন। ৩৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা হলে ফসলের সহনশীলতা ধরে রাখা সম্ভব নয়।"
প্রচণ্ড গরমের কারণে এ জেলায় কৃষি শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
রাজশাহী জেলার কিছু অংশও পড়েছে তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে।
টিবিএসের স্থানীয় প্রতিনিধিকে রাজশাহীর পবার হরিপুর এলাকার কৃষক আজিম উদ্দীন জানান, "মাঠে এখন ভুট্টা আর বোরো ধান রয়েছে। সূর্যের তাপে ভুট্টা নষ্ট হওয়ার উপক্রম। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এই অবস্থায় কৃষি শ্রমিকরা ভোর ৫টায় মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করছে, আর দুপুর ১২টার আগেই মাঠ থেকে চলে আসছে। দমবন্ধ করা গরমের কারণে এরপর থেকে আর কাজ করতে পারছে না। এইজন্য যেখানে এই শ্রমিকরা দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি পেতো, এখন সেখানে পাচ্ছে ৪০০ টাকা।"
এই জেলার গোদাগাড়ী এলাকার কৃষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, সূর্যের উত্তাপে আজ সারাদিন বাড়ি থেকে বের হতেই পারিনি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আর এখন মাঠে কাজও কম। তবে যারা মাঠে যাচ্ছেন ভোর থেকে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছেন।
দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও স্থানীয় প্রতিবেদকরা গরমে কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।
গরমে ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুরসহ কয়েকটি জেলা থেকে পোলট্রি শিল্পের ক্ষতির চিত্র পাওয়া গেছে।
গাজীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা জানিয়েছেন, চলমান তাপদাহ এবং অব্যাহত লোডশেডিং এর কারণে দেশে পোলট্রির রাজধানীখ্যাত গাজীপুরে খামারিরা নানামুখী সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। গরম এবং লোডশেডিংয়ের কারণে তাদের মুরগি লালন-পালন, রক্ষণাবেক্ষণ ও চিকিৎসা খরচ বেড়ে গেছে। অপরদিকে, ডিম ও মাংস উৎপাদন কমে গেছে।
গাজীপুর মহানগরীর গাছা এলাকার পোলট্রি খামারি মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, "আমার খামারে লেয়ার মুরগি লালনপালন করছি। গরমের কারণে অনেক দুশ্চিন্তায় রয়েছি। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী, আমি কৃত্রিম ঝর্ণার মাধ্যমে শেডের চালায় পানি ছিটিয়ে শেড ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা করেছি। মুরগিকে সব সময় ফ্যানের বাতাস দেওয়া হচ্ছে, খাবারের সাথে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি এবং স্যালাইন দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, "মুরগির খাবার কমে যাওয়ায়, ডিম উৎপাদন কমে গেছে। ফলে অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি ডিম উৎপাদন কমে যাওয়ায় আমি লসের মধ্যে আছি।"
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন পোল্ট্রি খামারিরা। তীব্র গরমে অনেক খামারে হিটস্ট্রোকে ব্রয়লার মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বড় খামারগুলোতে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে জ্বালানি তেলের খরচ বাড়ছে। বড় খামারগুলোতে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার জ্বালানি তেল লাগছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১,০৯৭টি ব্রয়লার মুরগির খামার, ৮৮টি লেয়ার এবং ৩৭১টি সোনালী মুরগির খামার রয়েছে। এর মধ্যে গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে ব্রয়লার মুরগির খামারিরা। মূলত যেসব মুরগির ওজন বেশি- সেগুলোই হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকে। তবে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিংও বেড়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। আর পোল্ট্রি খামারের অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলে।
জেলার সততা লেয়ার ফার্মের সত্ত্বাধিকারী আশিকুর রহমান জানান, প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত তিন থেকে চারবার লোডশেডিং হয়। এ সময়টাতে তাপমাত্রাও থাকে বেশি। কিন্তু মুরগি ১০ মিনিটও গরম সহ্য করতে পারে না। ফলে সার্বক্ষণিক ফ্যান ছেড়ে রাখতে হয়। এজন্য প্রতিদিন জেনারেটরের জ্বালানি তেলের জন্যই ৭-৮ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জে রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমের মধ্যে ডিপিডিসি আওতাধীন অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও– পল্লীবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। গরমের সাথে লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় পোলট্রি খামারীদের দৈনিক লোকসান বাড়ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৯৮০টির মত পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। এরমধ্যে বড়, ছোট, মাঝারি সবগুলোই একসাথে গণনা করা হয়েছে। খামারিদের অধিকাংশই বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি-ভিত্তিতে মুরগি লালনপালন করে থাকে। ফলে তাদের যাবতীয় দেখভাল সেসব কোম্পানির লোকজনই করে থাকে।
আড়াইহাজার পৌরসভার পোলট্রি ফার্মের মালিক ইউনুস জানান, তার প্রায় ৫ শতাধিক মুরগি মারা গেছে গরমের কারণে। তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে বৈদ্যুতিক পাখা, পানি ছিটানো, চালে পানি দেয়া হলেও মুরগির মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। গরমের সাথে লোডশেডিংও লোকসান বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তাপদাহের কবলে দক্ষিণ এশিয়া
শুধু বাংলাদেশই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে তীব্র তাপদাহ। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর বিরাজ করছে বড় সংখ্যক তাপপ্রবাহ।
উপমহাদেশের বিভিন্ন কিছু সর্বোচ্চ এলাকায় সর্বোচ্চ ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ অঞ্চলেই দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩২ থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকছে।
ভারতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে। এরমধ্যে উড়িষ্যায় ৪৫.২ ডিগ্রি এবং পশ্চিমবঙ্গে এর সামান্য কম ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে।
অপর প্রতিবেশী মিয়ানমারের চৌক নামের এক শহরে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী নেপিডো থেকে উত্তরপশ্চিম দিকে ইরাবতী নদীতীরে অবস্থিত এই শহর।