রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার, ৪ মে থেকে ভাড়া বাড়ছে রেলে
যাত্রীবাহী ট্রেনের রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে আগামী মাস থেকে যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুনতে হবে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এতে ট্রেনের যাত্রীভাড়া বাড়বে।
রেলওয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে একজন যাত্রী ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ৩০ শতাংশ করে রেয়াত সুবিধা পান।
রেলওয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে 'সেকশনাল রেয়াত' রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে– শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।"
এরআগে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পর রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন, ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
এরপরে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাড়া না বাড়ানো হলেও – রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার পরে যাত্রীদের ভাড়া বেশি গুনতে হবে।
যেমন ১৯১ কিলোমিটারের ঢাকা-কুমিল্লা রুটে বর্তমানে সর্বনিম্ন যাত্রীশ্রেণির ভাড়া ১৭০ টাকা। ২০ শতাংশ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পরে ভাড়া ৩৪ টাকা বেড়ে হবে ২০৪ টাকা।
একইভাবে ৩৪৬ কিলোমিটারের ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সর্বনিম্ন যাত্রীশ্রেণির বর্তমান ভাড়া ২৮৫ টাকা। ২৫ শতাংশ রেয়াত প্রত্যাহারের পরে যা ৫৭ টাকা বেড়ে হবে ৩৪২ টাকা।