ঢাকায় অত্যধিক গরম, তাপমাত্রা পৌঁছাল ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় আজ সোমবার বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় গত ২০ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ১৯৬০ সালের পর এ পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ওই বছরের পর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল গত বছরের ১৬ এপ্রিল। এছাড়া ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আর ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৯৭২ সালের ১৫ মে সর্বোচ্চ ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল রাজশাহীতে।
অব্যাহত তাপপ্রবাহের মধ্যেই গতকাল রবিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল বেশ কম।
পরে তীব্র দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে পরামর্শক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কিছু এলাকার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাপপ্রবাহের মধ্যে সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
• জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের রইরে বের না হওয়া, সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা
• বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি কিংবা কাপড় দিয়ে যথাসম্ভব মাথা ঢেকে রাখা
• হালকা রঙয়ের সুতি কাপড় পরা
• পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা
• সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর পানীয় ও খাবার পরিহার করা
• সম্ভব হলে একাধিকবার গোসল করা বা মুখে পানির ঝাপটা দেওয়া
• দিনের বেলা ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকা
• প্রসাব হলুদ হলে পানি পানের পরিমাণ বাড়ানো
• ঘরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কি না সেদিকে খেয়াল রাখা
• অসুস্থতা বোধ করলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।