ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ২০ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে বৃত্তিসহ ভর্তি করা হবে: উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধাসহ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মি. ইউসুফ এস. ওয়াই. রামাদানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি, বৃত্তি এবং আবাসিক সুবিধা প্রদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নে আগ্রহী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও বৃত্তি প্রদানের জন্য উপাচার্যের কাছে অনুরোধ জানান।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ১৯৭১ সালে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশ ও আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে জোড়ালো অবস্থান নিয়েছেন।
পরে উপাচার্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও আবাসিক সুবিধাসহ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মুর্তূজা এবং জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।