ফোর-জি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে থ্রি-জি সেবা বন্ধ করল বাংলালিংক
দেশজুড়ে ফোর-জি নেটওয়ার্কের মান ও গতি আরও বাড়াতে থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দিয়েছে বাংলালিংক। রবিবার (৫ মে) দেশের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে এটি দেশব্যাপী থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ফোর-জি নেটওয়ার্কের আরও বেশি তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স বরাদ্দ করতে পারবে অপারেটরটি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলালিংক জানিয়েছে, এই কৌশলগত পদক্ষেপ 'সকলের জন্য সেরা ফোর-জি' নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। একইসাথে এটি সারা দেশে চলমান ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অপারেটরটির নেতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে।
বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, 'ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ ও উদ্ভাবনী সেবা দেওয়া। ফোর-জির জন্য বরাদ্দ করা তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স আরও বাড়িয়ে আমরা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।'
তিনি বলেন, 'এই সফল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক হিসেবে আমরা গ্রাহকদের ফোর-জি অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে উচ্চগতি সম্পন্ন ও আধুনিক অবকাঠামো এবং সর্বোপরি অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবাগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর দিকে বাংলালিংকের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট আছি।'
ফোর-জি প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এই যুগোপযোগী রূপান্তর গ্রাহকদের জন্য বাংলালিংকের ইন্টারনেটের উচ্চ গতি, নির্ভরযোগ্যতা ও সহজলভ্যতার প্রতিশ্রুতিকেই ধারণ করে।
গ্রাহককেন্দ্রিক অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উন্নত ফোর-জি সেবা গ্রহণ ও ২০২১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে থ্রি-জি সেবা বন্ধ করার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এই কৌশলগত সিদ্ধান্তটি বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওন সমর্থিত। এছাড়া ভিওন পরিচালিত বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথেও এটি সঙ্গতিপূর্ণ।
এছাড়াও চলমান নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলালিংক সংশ্লিষ্ট খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সাথে বেশ কয়েকটি নতুন চুক্তি সম্পাদনের ঘোষণা দিয়েছে। এসব চুক্তির ফলে বাংলালিংক ফোর-জি নেটওয়ার্ককে দেশব্যাপী আরও বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।
সম্প্রতি বাংলালিংক সারা দেশে উচ্চ গতি ও কভারেজ নিশ্চিত করতে এর নেটওয়ার্ক সক্ষমতা দ্বিগুণ করেছে। উন্নত নেটওয়ার্ক ও অত্যাধুনিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টফির মাধ্যমে, কোম্পানিটি ২০২৪ ও ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় ছয়টি আইসিসি ইভেন্ট বিশেষভাবে সম্প্রচার করবে যেখানে ২০টি দেশের অংশগ্রহণে পুরুষদের ৭১টি ও নারীদের ৯৫টি খেলা দেখানো হবে।