ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ২৬ মে সরাসরি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাতের আশঙ্কা
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল'। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আর দুই-এক দিনের মধ্যেই ঘনীভূত হওয়ার কথা এই ঝড়ের, যা ২৬ মে সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাতে হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঝড়ের ২১ মে'র সবশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য সম্পর্কে টিবিএসকে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক।
পলাশ বলেন, আমার গত ১০ বছরের অভিজ্ঞতায় প্রমাণ পেয়েছি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রথমে আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম বা জিএফএস নামক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল নির্দেশ করলেও – ঘূর্ণিঝড়ের স্থল ভাগে আঘাতের স্থান ও সময় বিষয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি সঠিক পূর্বাভাস দিয়ে থাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম বা আইএফএস।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল ২৬ মে সকাল ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করা শুরু করতে পারে সকাল ৬টার পর থেকে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভব্য সময় ২৬ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের পিছন দিকের অর্ধেক অংশ পুরোপুরি স্থল ভাগে প্রবেশ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে তবে বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। তবে যদি ভাটার সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে– তাহলে বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।
বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপকূলে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার; যা দমকা হাওয়াসহ ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।