এমপি আজীম হত্যাকাণ্ড: তদন্তে ভারত যাচ্ছে ডিবি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্ত ও মরদেহ উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে কলকাতা যাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান। তার নেতৃত্বেই দলটি কলকাতা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ কিংবা কালকের মধ্যেই তাদের কলকাতার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভারতীয় পুলিশের চার সদস্যের একটি দল হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্তের জন্য ঢাকায় আসে।
বাংলাদেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাটির তদন্ত করছে। তবে এখনও মরদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
সম্প্রতি কলকাতায় খুন হন এমপি আজীম। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জিহাদ হাওলাদার নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। তিনি খুলনার দিঘলিয়া থানার বারাকপুর গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিহাদ অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করতেন। দু'মাস আগে সংসদ সদস্য আজীমকে হত্যার জন্য তাকে কলকাতায় আনেন প্রধান অভিযুক্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জান শাহিন।
কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ পুলিশকে জানিয়েছেন যে কলকাতায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে এমপি আনারকে হত্যার পর তার চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। চামড়া ছাড়ানোর পর টুকরো টুকরো করা হয় তার মরদেহ। এরপর সেই সেগুলো প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়।
সূত্রমতে, জিহাদকে পাঁচ কোটি টাকার ভাগ দেওয়া হয়েছিল; যা প্রধান অভিযুক্ত শাহীন এমপিকে হত্যার জন্য খরচ করেছেন বলেন অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও জাহিদ নামে আরেক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। তার নাম জাহিদ। গতকাল মধ্যরাতে বনগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির তথ্যমতে, জাহিদ এই হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজনদের একজনের সাথে দেখা করেছিলেন।
ঢাকায় আজীমের পরিবারের দায়ের করা এফআইআর-এ জাহিদের নাম ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতেই পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
উল্লেখ্য, চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যাওয়ার পর গত ১৪ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন এমপি আজীম।