উদ্ধার হওয়া দেহাংশ কার? ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কলকাতা যাচ্ছেন এমপি আনারকন্যা
কলকাতার নিউ টাউনে সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া মরদেহের অংশ ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের কি-না, তা পরীক্ষার জন্য কলকাতা যাচ্ছেন নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আগামী দুই দিনের মধ্যেই ডরিনের কলকাতায় যাওয়ার কথা রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মরদেহের অংশ, চুলের ডিএনএ-র সঙ্গে নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে। এরপরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে, উদ্ধার হওয়া মরদেহের অংশগুলো ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ও নিহত হওয়া এমপি আনারের কি-না।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ মে) কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক ও বর্জ্য নিষ্কাশনের পাইপ থেকে মরদেহের অংশ উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশের তিন সদস্যের গোয়েন্দা দলের একজন মঙ্গলবার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, উদ্ধার হওয়া মরদেহের এসব অংশ ঝিনাইদহের নিহত এমপি আনারের হতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই নমুনাগুলো ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্ত করতে গত ২৬ মে কলকাতায় যায় বাংলাদেশ গোয়েন্দা শাখার একটি দল।
এ বিষয়ে ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেছিলেন, তাদের টিম প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর, মুম্বাইয়ে কসাইয়ের কাজ করা বাংলাদেশি নাগরিক জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
জিহাদকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল সঞ্জীবা গার্ডেন থেকে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে বাগডোবা খালেও তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। জিহাদ ওই খালে দেহের কিছু অংশ ফেলে দেওয়ার কথা জানানোর পর, দুই দেশের পুলিশ বাগডোবা খালেও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যাওয়ার পর ১৪ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন এমপি আনায়ারুল আজীম আনার। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন কলকাতায় তার বাবার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশে অভিযোগ দায়ের করেন।