এমপি আনার হত্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ শিমুল ভূঁইয়ার
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যামামলার অন্যতম আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া শিমুল ভূঁইয়া আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এমপি আজীমকে হত্যার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
নাম না প্রকাশের শর্তে ডিবির একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, 'হত্যাকাণ্ডে আরও কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নাম এসেছে। আমরা নামগুলো ক্রস-চেক করে দেখছি। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে। সেখান থেকে সিগন্যাল পেলে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।'
এদিকে সোমবার (১০ জুন) সরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ হত্যামামলার তদন্ত শেষ হলে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন।
শিমুল ভূঁইয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও একজন সাবেক স্থানীয় পৌর মেয়রসহ আরও কয়েকজন নেতা বর্তমানে পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।
শিমুল ভূঁইয়ার দেওয়া জবানবন্দি অনুসারে, এমপি আজীমকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী শিমুলকে দুই কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুর। হত্যাকাণ্ড শেষে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে বাবুর হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগও হয়েছিল।
গত শনিবার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আওয়ামী লীগ নেতা বাবুকে গ্রেপ্তার করে। পরে রোববার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাবু এমপি আজীম হত্যামামলার অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন ও শিমুল ভূঁইয়ার আত্মীয়।
এম আজীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনই নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কিছু মাংসখণ্ড উদ্ধার করেছেন। 'এই মাংসখণ্ড এমপি আনারের কি না, তা ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারতে একটি মামলা হয়েছে। অন্যদিকে তার কন্যা বাংলাদেশে একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
'ঘটনাটি ভারতে ঘটেছে, তাই আসামিকে ফিরিয়ে আনা তাদের দায়িত্ব। আমেরিকার সঙ্গে তাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভারত সরকার সেই সুবিধা পাবে।'