বুয়েটের ১৯ ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন, আসবে ৩.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
সৌর বিদ্যুতের প্রসারে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ১৯টি ভবনের ছাদে ৩.৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বুয়েটের কাউন্সিল ভবনে এ সোলার প্রজেক্টের সিওডি (কমার্শিয়াল অপারেশনে ডেট) উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ হবে বলে প্রত্যাশা করছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ২.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, সৌরবিদ্যুতের এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবছর ৫০ লাখ টাকা বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হবে বুয়েটের।
তারা বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ২৫ বছরে বুয়েট প্রায় ১২ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে। ২৫ বছরে বুয়েট নিজস্ব জনবল দিয়ে প্রকল্পটি পরিচালনা করলে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৫ কোটি টাকা।
এছাড়া এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বুয়েটের কার্বন ফুটপ্রিন্ট প্রায় ৫৬ হাজার ৫০৭ টন কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে পিএসএল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড গ্রিন এনার্জি লিমিটেড, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও প্যাসিফিক সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেড। ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর এই প্রকল্পটি শুরু হয়।
প্রকল্পের অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোরসেদ বলেন, 'বুয়েটে আজকে রুফটপ সোলার নিয়ে যে কাজটি হলো, সেটিকে আরও প্রসারিত করতে বুয়েট-ইডকল কারিগরি জায়গাগুলোতে আরো কাজ করতে পারে।'
অনুষ্ঠান শেষে বুয়েটের ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী পুরকৌশল ভবনের ছাদে রুফটপ সোলার প্রকল্প পরিদর্শন করেন অতিথি ও স্টেকহোল্ডাররা।
বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, সৌরবিদ্যুতে বুয়েটে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেটি বাংলাদেশে অনন্য ঘটনা। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বুয়েট প্রথম, যাদের সব ছাদে সৌরবিদ্যুতের সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে।