পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে নেই যানজট; নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় যাত্রীরা
কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র দুই দিন। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর বিপুল সংখ্যক মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতু ব্যবহার করে বাড়ি ফিরছেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এবারের ঈদযাত্রায় এই রুটে যানজট কম থাকায় মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছেন।
দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি মহাসড়কটিতে অনেক যাত্রী ব্যক্তিগত যানবাহন ও মোটরসাইকেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে যাতায়াত করছেন। এক্ষেত্রে আজ (শনিবার) সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে কোনো যানজট বা যাত্রীদের অসুবিধার খবর পাওয়া যায়নি। এই প্রান্ত দিয়ে যানবাহন নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতু পার হতে দেখা গেছে।
পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের টোল প্লাজায় মোট সাতটি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতি গাড়িতে মাত্র ৫-৬ সেকেন্ড সময় লাগছে।
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় গতকাল (১৪ জুন) ট্রাকের জন্য ব্যবহৃত ওজন মাপকাঠির মেশিনের কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ জটলা সৃষ্টি হয়েছিল।
এই বিষয়ে মাওয়া ট্র্যাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর এএসএম জিয়াউল হায়দার বলেন, "বিকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শনিবার ভোর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের লোকজন নির্বিঘ্নে এবং বিনা বাধায় তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করছে।"
এদিকে গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ প্রায় ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা টোল আদায় করেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টা থেকে আজ (১৫ জুন) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫৩ হাজার ৭০৮টি যানবাহন সেতু অতিক্রম করেছে। এতে সংগৃহীত মোট টোলের মধ্যে ৩৩,০২৫টি গাড়ি টাঙ্গাইলের সেতুর পূর্ব অংশ থেকে এবং ২০,৬৮৩টি যানবাহন সিরাজগঞ্জের দিক থেকে অতিক্রম করেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, "যানজট এড়াতে সেতুর প্রতিটি পাশে নয়টি করে মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথসহ মোট আঠারটি টোল বুথ স্থাপন করা হয়েছে।"
এদিকে ঢাকার বাস টার্মিনালগুলো গতকাল (শুক্রবার) থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। কাউন্টার মাস্টার ও যাত্রীরা জানান, সময়মতো বাস ছেড়েছে। এমনকি কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোও নির্ধারিত সময়ে ছেড়েছে।