রাসেল'স ভাইপার নিয়ে পুরস্কার: ঘোষণা দিলেও পুরস্কার দিচ্ছেন না ফরিদপুরের আ.লীগ নেতা
রাসেল'স ভাইপার ধরে আনতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছিলেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ। ঘোষণা অনুযায়ী পুরস্কারের আশায় অনেকেই সাপটি ধরে আনেন। তবে আজ রবিবার পর্যন্ত তাদের একজনও পুরস্কার পাননি।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই আওয়ামী লীগ নেতা ঘোষণা করেন- রাসেল'স ভাইপার (চন্দ্রবোড়া, বোড়া বা উলুবোড়া) কোতোয়ালী থানায় কেউ মারলেই তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। ক্ষমতাসীন দলের জেলা কার্যালয়ে এই ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই তিনি তার বক্তব্য পাল্টে ফেলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, কেউ জীবিত রাসেল'স ভাইপার ধরে আনলে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
এ কথা শোনার পর যে যার মতো সাপ ধরে এনে পুরস্কারের দাবি করছেন। কিন্তু কোনো পুরস্কার ছাড়াই ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জীবিত রাসেল'স ভাইপার সাপ নিয়ে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে যান সদর উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকার কৃষক রেজাউল খান (৩২)। তিনি সাংবাদিকদের জীবিত রাসেল'স ভাইপার সাপটি দেখান।
রেজাউল জানান, শনিবার বিকেলে সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে কাজ করার সময় সাপটি দেখতে পান। স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটিকে একটি পাতিলে ভরে শহরে নিয়ে যান পুরস্কারের টাকার জন্য। তবে রবিবার পর্যন্ত তিনি পুরস্কারের টাকা পাননি। তার মতো আরো অনেকেই পুরস্কার না পেয়ে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ইশতিয়াক আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, 'বিষয়টি বলার ভুল কিংবা বোঝার ভুল হতে পারে। বিষধর হলেও এসব সাপ পরিবেশের বাস্তুসংস্থানের একটি অংশ। কিন্তু বর্তমানে ফরিদপুরের চরের মানুষেরা আতঙ্কগ্রস্ত এ নিয়ে। এজন্য আমরা সবাইকে সতর্ক হতে এ ঘোষণা দিয়েছি। তবে সাপ মারা যাবে না, জীবিত অবস্থায় ধরতে পারলে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে।'
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, 'এ ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করাটাই তো অবৈধ। মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা। আমরা এটা প্রমাণ করতে যাবো কেন? ওই কৃষকদের উচিত হবে যেখান থেকে সাপটি ধরেছে ওই স্থানে ছেড়ে দেওয়া।'