৫,০০০ কোটি টাকা বকেয়া কর পরিশোধ করলো পেট্রোবাংলা
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) ৫,০০০ কোটি টাকা বকেয়া কর পরিশোধ করেছে।
যদিও চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই সংস্থার বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭,৫৪৯ কোটি টাকা।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, জ্বালানি আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়ায় সংস্থাটি বহুদিন ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) শুল্ক, মূসক (মূল্য সংযোজন কর) ও আয়কর পরিশোধ করতে পারছে না। এর সাথে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও এলএনজির দাম বৃদ্ধির কারণে সংস্থার অর্থ সংকট আরও প্রকট হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পেট্রোবাংলার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টিবিএসকে জানান, "সুদমুক্ত দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নিয়ে এনবিআরের বকেয়া পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়। এই ঋণ ১৫ বছরের গ্রেস প্রিরিয়ডসহ পরবর্তী ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।"
এর অংশ হিসেবে এলটিইউ ভ্যাট ৫,০০০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এনবিআরের তথ্য মতে, সংস্থাটির মূসক বকেয়া ছিল ২২,৫৮৪ কোটি টাকা। আয়কর ও আমদানি শুল্ক বাবদ পাওনা রয়েছে আরও ১৪,৯৬৫ কোটি টাকা।
বুক অ্যাডজাস্টমেন্টের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পরিশোধে আলোচনা করছিল দু'পক্ষ। তবে গত মে মাসে বকেয়ার একটি অংশ নগদ পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়।
পেট্রোবাংলা ছাড়াও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এবং এর বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে এনবিআরের বকেয়া রয়েছে আরও ১৭,২২৬ কোটি টাকা।
আয়কর, মূসক ও শুল্ক বাবদ বিপিসির বকেয়া ৬,৮৯৯ কোটি টাকা; তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের কাছে বকেয়া রয়েছে ২,২৮৪ কোটি টাকা; পদ্মা অয়েল কোম্পানির কাছে বকেয়া ২,১৪৫ কোটি টাকা; সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের বকেয়া ১,৭৩৫ কোটি টাকা এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের বকেয়া রয়েছে ১,০২৮ কোটি টাকা।