টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকা প্লাবিত, সাজেকে আটকা শতাধিক পর্যটক
টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছেন।
এদিকে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে দীঘিনালা উপজেলা এবং রাঙ্গামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পর্যটন উপত্যকা সাজেক। ফলে সেখানে বেড়াতে যাওয়া প্রায় ৬শ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির গঞ্জপাড়া, শান্তি নগর, কালডেবাসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পৌর শহরে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ এবং পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারি পরিবার রয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম-ঢাকা সড়কে যান চলাচল দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'জেলার বেশ কয়েকটি পাহাড় নাজুক অবস্থায় রয়েছে। টানা বৃষ্টি হলে ধসের আশংকা রয়েছে। তবে আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছি।'
খাগড়াছড়ির স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে গতকাল সোমবারই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক শহিদুজ্জামান বলেন, 'জেলায় প্রায় ১০০ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। সেখানে আশ্রিতদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাস করা পরিবারগুলোকে সরে যেতে আমরা অনুরোধ করেছি।'
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে রাঙ্গামাটির সাজেকে আটকা পড়েছেন প্রায় ৬শ পর্যটক। বন্যায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় তারা ফিরতে পারছেন না।