বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামশ জগলুল হোসেনের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালে মামলা করেছিল দুদক।
দুদকের তথ্যমতে, এ দম্পতি অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ দম্পতির এক হাজার ২৭০ একর জমি রয়েছে। নথিতে জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও প্রকৃত বাজারদর ৫০০ কোটি টাকারও বেশি।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, গুলশানে এক বিঘা জমির ওপর নির্মিত সরকারি ডুপ্লেক্স বাড়িটির বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকার কম নয়। শামসুদ্দোহা গত আট বছর ধরে বাড়িটি অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। তিনি কোনো ভাড়াও দেননি। উল্টো তাকে বাড়িটি বরাদ্দ দিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
পূর্বাচলে আরেকটি প্লট বরাদ্দ পাওয়ায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার আবেদনটি বাতিল করা হয়। তিনি এখনও গুলশানের সরকারি বাড়িটি দখল করে রেখেছেন।
গত ১৮ মার্চ আদালত এসব সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দেন। পরদিন শামসুদ্দোহা খন্দকার হাইকোর্টে আপিল করলে এ আদেশ স্থগিত হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এ দম্পতি বর্তমানে দেশে নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ঘটনায় মামলার জেরে তিনি সপরিবারে কানাডায় চলে গেছেন।
শামসুদ্দোহা খন্দকার ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেন। দায়িত্বপালনের সময় তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে তিনি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।