প্রাথমিক তদন্তে বেনজীরের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-কন্যারা তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে সম্পদ অর্জন করেছেন — প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যে এমন ইঙ্গিত পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কমিশন তাদের [বেনজীর ও পরিবারের সদস্যদের] নামে ও ছদ্মনামে দেশে এবং দেশের বাইরে নিবন্ধিত আরও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদেরও প্রমাণ পেয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, কমিশন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছে।
সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ২১ কার্যদিবসের মধ্যে বেনজীরের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হিসাব দাখিল না করা হলে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান খোরশেদা ইয়াসমীন।
এর আগে ২৪ জুন দুদকে হাজির হতে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হলেও বেনজীরের স্ত্রী জিসান মির্জা এবং তাদের দুই মেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হননি।
বেনজীর আহমেদও ২৩ জুন দুদকে হাজির হতে ব্যর্থ হন। পরে দুদক সচিব বলেছিলেন, কমিশন এখন সাবেক পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে আরও আইনি ব্যবস্থা নেবে।
গত ২৩ মে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলে থাকা সকল সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে, তার ২৭টি ব্যাংক হিসাবসহ আর্থিক লেনদেনে জড়িত মোট ৩৩টি হিসাবও জব্দের আদেশ দেওয়া হয়।
এরপর ৬ জুন বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা, ক্রোক হওয়া সব স্থাবর সম্পত্তি দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দেন একই বিচারকের আদালত।
গত মার্চ মাসের শেষে এবং জুলাইয়ের শুরুতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জনের অভিযোগ উঠে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।