বোয়িং বা এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বোয়িং না এয়ারবাস কোন কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কেনা হবে, তা নির্ভর করছে মূল্যায়ন প্রতিবেদনের উপর।
'মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে'—রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান বলে উল্লেখ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
মন্ত্রী বলেন, 'আমরা নতুন উড়োজাহাজ কিনতে চাই। কারণ আমাদের বহর সম্প্রসারণের জন্য উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে। তারা তাদের প্রস্তাব বিমানের কাছে জমা দিয়েছে।'
তিনি জানান, প্রস্তাবটি বর্তমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি মূল্যায়ন করছে। মূল্যায়ন শেষ হলে কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে, সরকার সেখান থেকেই উড়োজাহাজ কিনবে।
ফারুক খান বলেন, দুটি কোম্পানিই ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে যেটি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে এবং যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে, তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীতকরণ ও ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, 'আমি বলেছি, এটা আমাদের একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। সুতরাং, এটির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম। আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আশা করছি।'
তার জবাবে পিটার হাস বলেছেন, তারা আন্তর্জাতিক এভিয়েশন আইন ও তাদের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম মেনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্ব, অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। তারা দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।
আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে চান উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর আগ্রহ রয়েছে।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, 'ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। আমাদের দিক থেকেও কোনো কারণ নেই, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও কোনো কারণ নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'আগেও দেশের বিভিন্ন কেনাকাটায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। তখন হয়তো তারা কাজ পায়নি, হয়তো অন্য দেশের কোনো কোম্পানি কাজ পেয়েছে। তাতে তো সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়েনি।'
পণ্য কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান, দেশের আইন মেনে দেশের স্বার্থ যাতে রক্ষিত হয়, তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানান মন্ত্রী।