অ্যাডহক চিকিৎসকদের পদোন্নতিতে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারদের ক্ষোভ
প্রাথমিকভাবে, অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া প্রায় ২,০০০ চিকিৎসককে নিয়মিতকরণ ও পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
অ্যাডহক ও ননক্যাডারদের পদোন্নতিতে ক্যাডারভুক্ত চিকিৎসকেরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. নেয়ামত হোসেন বলেন, "অ্যাডহকে নিয়োগ পাওয়া কিছু চিকিৎসককে সুবিধা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভুল তথ্য দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে। আদালতে একটি চলমান মামলার কথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি।"
তিনি বলেন, নিয়োগ বিধির শর্ত পূরণ না করেই তাদের চাকরি স্থায়ী করা অযৌক্তিক; তাদের কোনো পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি, কর্মজীবন জুড়ে কখনো কোনো পরীক্ষা বা প্রশিক্ষণে তারা অংশ নেননি এবং বিসিএসে ফেল করে তারা নন-ক্যাডার হয়েছেন।
তিনি বলেন, "বিসিএসের পাঁচ শর্ত থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়ে কেন বিসিএস পাস করা লোকেদের ওপরে রাখা হবে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।"
এসব কারণে ৩৫,০০০ ক্যাডার চিকিৎসক ক্ষুব্ধ উল্লেখ করে ডা. নেয়ামত আরও বলেন, "আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমস্ত অনিয়ম নথিভুক্ত করেছি এবং সেগুলো মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিয়েছি।"
সব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি তাদের ছাড়পত্রের ফাইল নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এই ফাইলটি বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি আমাদের স্বাস্থ্য ক্যাডারদের প্রতি চরম অবিচার।"
ক্যাডার চিকিৎসকদেরকে নন-ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডহক কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে রাখার প্রথা কোনো আইন বা প্রবিধান নেই এবং এটি সম্পূর্ণ অবৈধ বলে দাবি করেন ডা. নেয়ামত।
তিনি বলেন, "আমরা এই অন্যায় ও নিপীড়ন মেনে নেব না। আমাদের দাবি, সমস্ত অবৈধ পদোন্নতি বাতিল করতে হবে, সমস্ত অবৈধ নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং এই দাবি পূরণের জন্য চলমান সমস্ত প্রক্রিয়া অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।"
একইসঙ্গে, অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন অ্যাসসিয়েশনের নেতারা।