চীনের প্রেসিডেন্ট শি, প্রধানমন্ত্রী কিয়াং-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকালে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এবং বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ বৈঠক করেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে সাম্প্রতিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শি জিন পিংয়ের সাথে তাঁর শেষ আলোচনা করেন।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক 'সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব' পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সহ ২১টি দলিলে সই করে।
অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা,বাণিজ্য ও বিনিয়োগ,ডিজিটাল অর্থনীতি,অবকাঠামোগত উন্নয়ন,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ,বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
শি জিনপিং এবং লি কিয়াংয়ের সাথে তাঁর বৈঠকে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার হয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাণিজ্য ও উন্নয়নে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় প্রধান্য পেয়েছে।
চীনের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সোমবার বিকেলে তিন দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে বেইজিং পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এটি প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ চীন সফর। দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে।
গত ২১ থেকে ২২ জুন ভারত সফরের ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই চীন সফর হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে দুইবার চীন সফর করেন।
তিনি মহান নেতা মাও সেতুং এবং চো এন লাই এর সাথে দেখা করেছিলেন।
জাতির পিতা তাঁর সফরের পর তিনি চীনা নেতৃত্ব এবং তাদের নীতির প্রতি তার প্রশংসা প্রতিফলিত করে 'আমার দেখা নয়া চিন'-শিরোনামের একটি বই লিখেছেন।