কোটা আন্দোলন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, শিক্ষকদের সংহতি
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের জিম্মি করে 'জোরপূর্বক'আন্দোলন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে চার দফা দাবিতে আজ সোমবার বিকালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষক সংহতি জানিয়ে এতে অংশ নেন।
বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়ক থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ফের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের নির্যাতনের বিচার করা, শিক্ষার্থীদের হত্যার পেছনে জড়িতদের অবিলম্বে বিচার করা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে হয়রানি বন্ধ করা।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'ডিবি পুলিশ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সমন্বয়কদের দিয়ে আন্দোলন বন্ধের ঘোষণা করিয়েছে। আমরা সেটা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা চাই, আগে সব সমন্বয়ককে মুক্তি দেওয়া হোক, তারপর সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিব।'
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা বিক্ষোভে অংশ নেন। সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, 'দেশব্যাপী কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষদের হত্যা করা হয়েছে। একজন শিক্ষক হিসেবে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চাই। আমি চাই, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ঘুমাক, নিরাপদে থাকুক। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসুক, ক্লাসে ফিরে আসুক।'