শতাধিক পুলিশ শাহবাগ থানার সামনে, তাদের ঘিরে রেখে নিরাপত্তা দিচ্ছে নারী শিক্ষার্থীরা
শাহবাগ থানার গেটের কাছে অবস্থান করছে শতাধিক পুলিশ। আর তাদের নিরাপত্তা দিতে চারপাশ ঘিরে রেখেছেন নারী শিক্ষার্থীরা।
শাহবাগসহ আশপাশের সব কয়টি সড়ক এখন আন্দোলনকারীদের দখলে। দুপুর ১টা থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে কিছুক্ষণ পরপর বড় মিছিল যোগ দিচ্ছে শাহবাগে। শাহবাগ মোড় থেকে পশ্চিমগামী সায়েন্সল্যাবমুখী সড়ক, পূর্ব দিকে মৎস্যভবন সড়ক, উত্তরে বাংলা মোটর ও দক্ষিণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে পথটিতে মানুষ আর মানুষ।
ছোট বড় সবার হাতে বাঁশের লাঠি, রড় আর মাথায় লাল সবুক পতাকা বাঁধা। থেমে থেমে চলছে স্লোগান। "ছি ছি হাসিনা, লজ্জায় বাঁচিনা", "জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো, শেখ হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালো", "এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি"।
আন্দোলনকারীরা জানান, সকাল থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসতে থাকে শত শত মানুষ। সময় বাড়ার সাথে সাথে সাথে জনসমুদ্রে পরিণত হয় শাহবাগ।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলামোটর এলাকা আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের মাঝে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওই এলাকায় একটি পুলিশ বক্সে ভাঙ্চুরের তথ্যও পাওয়া গেছে।
আশিক নাকে এক যুবক বলেন, আমাদের কয়েক শত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের কাছে ছিল। আওয়ামী লীগের কর্মীদের গুলিতে তিনজন আহত হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিক হাজারো শিক্ষার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগদের কর্মীদের কাওরান বাজার পর্যন্ত তাড়িয়ে দিয়েছি। তবে বাংলামোটরে অর্ধশত পুলিশ থাকলেও তারা নীরব অবস্থানে ছিল।