চট্টগ্রাম নগরীতে সীমিত পরিসরে শুরু ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম
চট্টগ্রাম নগরীতে সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম। সোমবার ( ১২ আগস্ট) সকাল থেকে নগরীর ব্যস্ততম কয়েকটি মোড়ে চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সদস্যদের কাজে যোগ দিতে দেখা যায়।
তবে নগরীর বেশিরভাগ মোড়ে এখনো শিক্ষার্থী, স্কাউট, বিএনসিসি এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন। তাদের সাথে রয়েছেন আনসার সদস্যরাও।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ টিবিএসকে বলেন, "নগরীতে সীমিত পরিসরে প্রধান সড়কগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার সকালে নগরীর জিইসি, দামপাড়া, ওয়াসা, টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, নিমতলী মোড়সহ কয়েকটি স্থানে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে।"
তিনি আরও বলেন, "পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিকের পথে। দুই একদিনের মধ্যে ধাপে ধাপে নগরীর সকল মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।"
চট্টগ্রাম নগরীর বোয়োজিত, টেকনিক্যাল, ওয়াসাসহ কয়েকটি মোড়ে দেখা যায়— সেখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিএনসিসি, স্টাউট ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন।
এর আগে, নগরীতে ট্রফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে রোববার বিকেলে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনসের কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেই সভায় নগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন নগরী গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সাথে প্রতিটি পয়েন্টে থাকবেন একজন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফায় কারফিউসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সড়কে বেশ কয়েকদিন যান চলাচল বন্ধ থাকে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ, ট্রাফিক স্থাপনা ভাংচুরের কারণে ট্রাফিক পুলিশিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীতে যান চলাচল শুরু হলেও কাজে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা যায়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ এর তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম নগরীর ১৪টি রুটে প্রায় ১,১৫০টি বাস মিনিবাস চলাচল করে। এছাড়া কাউন্টার সার্ভিসের আওতায় মেট্রো প্রভাতি এবং সোনারবাংলা বাস চলাচল করে ৬৮টি।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের তথ্য মতে, চট্টগ্রাম নগরীর ২২টি রুটে ১৩,০০০ অটোরিকশা এবং ২,২০০ অটো টেম্পু, হিউম্যান হলার চলচাল করে।