খালেদা জিয়াকে ফের পুলিশ এসকর্ট দেওয়া হবে
প্রায় এক দশক পর বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ফের পুলিশ এসকর্ট দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে।
এর আগে ২০১৫ সালে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসাবে খালেদার পদ হারানোর পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তার পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহার করেছিল।
এর আগে, গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ৭৭৬দিন পর খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। এসময় তারা শর্ত দেয় যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশত্যাগ করবেন না।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে কারাগার থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে প্রায়ই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর তিনজন মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমা এবং লিভারে রক্তপাত বন্ধ করতে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস পদ্ধতি) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।