বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনাগুলো তদন্তে আগামী সপ্তাহে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পাঠাবে জাতিসংঘ
ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত জুলাই ও এ মাসের শুরুতে দেশজুড়ে সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য আগামী সপ্তাহে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাবে জাতিসংঘ।
গত বুধবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলোচনার পরে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর এই প্রথম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ।
ছাত্রজনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পতনের সময় এবং তার পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ প্রকাশের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে ফোনালাপের সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বাংলাদেশের জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন এবং এই ক্রান্তিলগ্নে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেওয়ার কথাও বলেন।
ভলকার তুর্ক বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, মানবাধিকারকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি (সরকারের) এই রূপান্তরকে সফল করবে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
তিনি বলেন, তাদের কিছু টেকনিক্যাল সহকর্মী থাকবেন, যারা আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'তারা প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান করবে। তবে আদেশ, বিশদ বিবরণ এবং কীভাবে দলটি সরকারের সাথে কাজ করবে- এই সবকিছুর বিষয়ে একমত হওয়া দরকার।'
সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মাঝে মধ্যেই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘ সনদে নিরাপত্তা পরিষদকে তদন্ত ও মধ্যস্থতা, মিশন প্রেরণ, বিশেষ দূত নিয়োগ বা মহাসচিবকে তার অফিস ব্যবহারের অনুরোধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।