দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান এবং সাবেক তিন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক সংসদ সদস্যরা হলেন- দিনাজপুর ৩ আসনের ইকবালুর রহিম, মাগুরায় ১ আসনের সাইফুজ্জামান শিখর এবং চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সোলায়মান হক জোয়াদ্দার।
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ফরিদপুরের মধুপুরে ভবন নির্মাণ, রাজউকের পূর্বাচলসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনা, নিজ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র কেনার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া তার স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকায় একাধিক সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এবং এই দম্পতি বিদেশে একাধিক বাড়ি কিনেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে ঢাকার উত্তরায় একটি বাড়ি, ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট ও দিনাজপুরে বিপুল পরিমাণ জমি ও একাধিক গাড়ির মালিকানার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি।
সাইফুজ্জামান শিখরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাগুরায় অটোব্রিকস ফিল্ডের ব্যবসা, একটি মাছের খামার এবং বেশ কয়েকটি ট্রাক কেনার অভিযোগে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে মাগুরায় বহুতল মার্কেটসহ অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সম্পদের মালিক হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ ও অসংখ্য যানবাহন কেনাসহ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের প্রাথমিক তদন্তে দেশে-বিদেশে তার বিপুল সংখ্যক অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।