ত্বকী হত্যামামলার ৩ আসামি রিমান্ডে
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার জবানবন্দিতে উঠে আসা ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। এরপর আদালতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে র্যাব। আদালত তিন আসামির মধ্যে দুজনের ৬ দিন এবং অপরজনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ।
গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন – মামুন, শরীফ ও কাজল।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, 'সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল শামসুর রহমানের আদালত দুজন আসামির ৬ দিনের রিমান্ড মনজুর করেন। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট হায়দার আলীর আদালত বাকি আসামির ছয়দিনের রিমান্ড মনজুর করেন। আসামিদের সবারই ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল র্যাব।'
ত্বকী হত্যাকান্ডের ঘটনায় র্যাব ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ভ্রমর, তায়েব উদ্দীন জ্যাকি ও সালেহ রহমান সীমান্ত নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া লিটন প্রথম ত্বকী হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এসময় তিনি বলেন, 'সালেহ রহমান সীমান্তের জামতলা ধোপাপট্টির বাড়িতে সংঘটিত হয় এই হত্যাকাণ্ড।'
অন্যদিকে আরেক আসামি ও আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, 'ত্বকী হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন আজমেরী ওসমান। তার নির্দেশেই হত্যা করা হয় ত্বকীকে।'
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে শহরের শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ত্বকী। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর ৮ মার্চ সকালে শহরের চারারগোপ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ত্বকীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানকে দায়ী করে আসছেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী।