নদী রক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা করার পাশাপাশি দখল হওয়া নদী পুনরুদ্ধার করতে হবে। এলক্ষ্যে আইনের কঠোর প্রয়োগ শুরু করা হবে।
এছাড়া, এ কার্যক্রমে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব নদী দিবস ও রিভার অ্যাওয়ার্ড উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের এক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি জানান, নদীকে দূষণমুক্ত করতে ব্যয় সাশ্রয়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
উপদেষ্টা বলেন, "নদী শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, আমাদের সংস্কৃতি ও জীবিকার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতের অংশ হিসেবে নদীকে দূষণমুক্ত করতে হবে। নদী রক্ষা ও দূষণমুক্ত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।"
এ সময় নদী নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা তিনজন ব্যক্তিকে মার্ক এঞ্জেলো রিভার অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ দেওয়া হয়।
তারা হলেন- প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, গবেষণা ক্যাটাগরিতে গবেষণা সংস্থা রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ এবং সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ।
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- সুইডেন অ্যাম্বাসির পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রম, আয়োজক প্রতিষ্ঠান নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুর রব মোল্লা, হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন, কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের সেক্রেটারি শেখ দিদারুল ইসলাম চৌধুরী ও বিআইডব্ল্উিটিএ-র পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন। এছাড়া, বিভিন্ন পর্যায়ের পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।