লালশাকে পাওয়া গেল মাত্রাতিরিক্ত ভারী ধাতু, দীর্ঘদিন খেলে রয়েছে ক্যান্সারের ঝুঁকি
বেগুন, দেশি শিম, শসা, ঢেঁড়স, করলাসহ কয়েকটি সবজিতে লেড (সিসা), ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ামসহ বেশ কয়েকটি ভারী ধাতুর উচ্চ মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর মাত্রায় ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে লালশাকে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সেমিনারে ৯টি সবজিতে ভারী ধাতুর উপস্থিতি এবং ৪টি ফলে কীটনাশকের মাত্রা নিয়ে করা গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
গবেষকরা জানান, যেসব সবজিতে ভারী ধাতুর উপস্থিতি রয়েছে, সেগুলো দীর্ঘদিন খেলে ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
গবেষণার জন্য দেশের কয়েকটি জেলার বাজার থেকে আলু, বেগুন, ঢেঁড়স, টমেটো, লালশাক, পটল, বাধাকপি, শশা এবং শিম নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, লালশাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্যাডমিয়ামের মতো ভারী ধাতু পাওয়া গেছে। যেখানে ক্যাডমিয়ামের সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা প্রতি কেজিতে ১৯০ মাইক্রোগ্রাম, সেখানে লালশাকে প্রতি কেজিতে ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে ৭০৪.৩২ মাইক্রোগ্রাম।
প্রতি কেজি বেগুনে ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে ২৭৫.৬৬ মাইক্রোগ্রাম, ঢেঁড়সে ৩৪৯ মাইক্রোগ্রাম ও টমেটোতে ১৯৫ মাইক্রোগ্রাম। ক্যাডমিয়ামের সর্বোচ্চ উপস্থিতি পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা থেকে।
একইভাবে ক্রোমিয়ামের মতো ভারী ধাতুর মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়া গেছে শিম, শসা, ঢেঁড়স, পটল ও লালশাকেতে। লেডের মতো ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে বেগুন, বাঁধাকপি, শিম, শশা, ঢেঁড়স, পটল, টমেটো ও লালশাকসহ ৯টি সবজিতে।
এদিকে, আম, লিচু, বড়ই ও পেয়ারার মতো ফলের ৩২০টি নমুনায় কীটনাশকের মাত্রা পরীক্ষা করে গড়ে ১০ শতাংশের মতো ক্ষতিকর মাত্রায় কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।