সুনামগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে আগুন লেগে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ একই পরিবারের ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম শিমেরখাল আশ্রয়ণ প্রকল্পে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে।
এ অগ্নিকাণ্ডে যারা মারা গেছেন- শিমেরখাল গ্রামের দিনমজুর এমারুল মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পলি আক্তার (৪৫), শিশুসন্তান পলাশ (৯), ফরহাদ (৭), ফাতেমা বেগম (৫) ও ওমর ফারুক (৩)।
উপজেলা প্রশাসন, থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শিমেরখাল গ্রামে সরকারি অর্থায়নে ২০২১ সালে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ৩৪টি টিনের ছাউনিসহ আধাপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। এখানে ৩৪টি পরিবারের বসবাস। সোমবার রাত ১২টার দিকে হাওরে মাছ শিকার করে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে শিমেরখাল গ্রামের বাসিন্দা জেলে সাইফুল ইসলাম (৫০) আশ্রয়ণ প্রকল্পে এমারুল মিয়ার বসতঘরের ভেতরে আগুন দেখতে পান। সাইফুলের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসেন। তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তখন এমারুল মিয়ার বসতঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। রাত দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ধর্মপাশার ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলী ফরিদ আহমেদ, ধর্মপাশা থানার ওসি এনামুল হক আজ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, আজ সকালে শিমেরখাল গ্রামে গিয়ে একই পরিবারের ছয়জনের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, কী কারণে এবং কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।
ধর্মপাশার ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, আমি ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসহায়তা দেওয়া হবে।