১১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে
কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির এ ধারা আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৪ অক্টোবরের পর বৃষ্টির প্রবণতা দুই দিনের জন্য কমলেও পরে তা আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পূর্বাভাসে জানায়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত, এবং এর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর প্রবল অবস্থায় রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ও কানাডার সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ টিবিএসকে বলেন, "আগামী ১২ অক্টোবর থেকে এ মৌসুমের বর্ষাকালীন বৃষ্টি শেষ হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে আবহাওয়া মডেলগুলো থেকে। ফলে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় বর্ষার বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ৬ অক্টোবরের পর ভারী বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসবে।"
গতকাল চাঁদপুরে সর্বোচ্চ ৭৯ মি.মি (মিলিমিটার) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া, টেকনাফে ৭০ মি.মি, কক্সবাজারে ৬৭ মি.মি, সন্দ্বীপে ৬২ মি.মি এবং রংপুরে ২৬ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঢাকা শহরে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ৫৫ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
দেশের অধিকাংশ জায়গায় গতকাল বৃষ্টি হয়েছে, যার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি।
এদিকে, অতিবৃষ্টির কারণে নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আট কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে, যা যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলেছে। নারী, শিশু, অফিসগামী ও শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। মহাসড়কের দুই পাশেই যান চলাচল থেমে যাওয়ায় অনেককেই বৃষ্টির মধ্যে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতের ভারী বৃষ্টির পর মহাসড়কের কিছু অংশ তলিয়ে গেলে সানারপাড়া থেকে বন্দরের কেওঢালা পর্যন্ত আট কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ট্রাফিক পরিদর্শক আবু নাঈম বলেন, "কেওঢালা ও লাঙ্গলবন্দ এলাকায় কিছু যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে, এবং বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের কারণে যানজট আরও বেড়ে যায়।"