হালুয়াঘাটে পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী অর্ধ লক্ষ মানুষ
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার অন্তত পাঁচটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার অন্তত ৫০ হাজার বাসিন্দা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) থেকে টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে আজ শুক্রবার বিকেল থেকে ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি উপজেলার হালুয়াঘাট সদর, ভূবনকুড়া, জুগলী, গাজিরভিটা ও কৈচাপুর ইউনিয়নে প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে স্থানীয় ভোগাই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে পানির প্রবাহ আরও বাড়তে থাকে।
এতে এসব ইউনিয়নের প্রায় সবকয়টি গ্রামই প্লাবিত হয়। ডুবে যায় সড়কগুলোও। এছাড়া হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে পানি প্রবেশ করায় সেবা নিতে আসা রোগীরাও ভোগান্তিতে পড়েন।
ভূবনকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুরুজ মিয়া জানান, গতকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। আজ দুপুরের দিকে শেওয়াল ও মেনেং নদীর দুইটি অংশে পাড় ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। ঘরের ভেতরে পানি না ঢুকলেও বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করে।
হালুয়াঘাট উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলাল উদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢলের কারণে পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তবে রাতে বৃষ্টি না হলে আগামীকাল শনিবার সকালের মধ্য পানি কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদুল আহমেদ বলেন, '১৯৮৮ সালের দিকে হালুয়াঘাটে বন্যা হয়েছিল। এরপর আর বড় ধরনের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে শুক্রবার বিকেল থেকে বৃষ্টি ও ঢলের পানি ঢুকেছে কয়েকটি ইউনিয়নে। এতে করে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দীদের কাছে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।'