সেন্টমার্টিন নৌ রুটে যাত্রীবাহী স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজ ২, উদ্ধার ৯
কক্সবাজারে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নাফ নদীর মোহনায় স্পিডবোট উল্টে এক শিশু ও চালক নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় অপর ৯ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় টেকনাফে নাফ নদীর মোহনার গোলগলা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান সেন্টমার্টিন ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম।
নিখোঁজেরা হল, স্পিডবোটের চালক মোহাম্মদ বেলাল (৩৫) ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার মো. সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে স্মৃতি নূর আলিশা (৮)।
দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটটির মালিক টেকনাফের বাসিন্দা মোহাম্মদ রশিদ।
স্থানীয় জেলেদের বরাতে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, সকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। স্পিডবোটটি নাফ নদীর মোহনার গোলগলা পয়েন্টে পৌঁছালে ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায়। এতে স্পিডবোট থাকা সকলেই পানিতে ভাসতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয় জেলেদের নৌকা ও একটি স্পিডবোট ভাসমান অবস্থায় ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোট চালক ও এক নিখোঁজ রয়েছে। "
নিখোঁজ থাকা শিশুর বাবা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, শাহপরীরদ্বীপ আসার পথে নাফ নদীর মোহনার গোলারচর পয়েন্টে তাদের বহনকারী স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এতে তারা সকলেই সাগরে ভাসতে থাকে।
"আমি ও স্ত্রী দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে পানিতে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ভাসমান অবস্থায় ছিলাম। এক পর্যায়ে স্থানীয় জেলেদের ট্রলার ও অন্য একটি স্পিডবোট তাদের তিনজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলে এক শিশু সন্তান নিখোঁজ রয়েছে। "
ভুক্তভোগী এ ব্যক্তি জানান, উদ্ধারের পর তারা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, শাহপরীর দ্বীপ আসার পথে স্পিডবোট উল্টে দুর্ঘটনার খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছেন। প্রাথমিকভাবে এক শিশু ও চালক নিখোঁজ রয়েছে। অপর ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার পর বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
নিখোঁজের সন্ধানে স্থানীয় জেলে ও কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান ইউএনও।