চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামিক গান: অভিযুক্ত ২ জনের জামিন মঞ্জুর
দুর্গাপূজা মণ্ডপে ইসলামি গান পরিবেশনার মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া চট্টগ্রাম কালচারাল অ্যাকাডেমির দুই সদস্যের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক শহিদুল করিম ও নুরুল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এ এম হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার রিমান্ড শুনানির সময় উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হন। শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলিউল্লাহ রিমান্ড আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদুল করিম ও নুরুল ইসলামকে আটক করা হয়। এরপর শুক্রবার, মহানগর পূজা কমিটির অর্থ সম্পাদক সুকান্ত বিকাশ মহাজন কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় পূজা কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্ত এবং চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সদস্য শহিদুল করিম, নুরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ ইকবাল, মো. রনি, গোলাম মোস্তফা ও মো. মামুনের নাম অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন কমিটি শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কমিটি থেকে বর্তমানে বহিষ্কৃত সজল দত্ত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানান পারফর্ম করার জন্য।
সে সময় ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয়জন সদস্য দুটি গান পরিবেশন করেন। যার মধ্যে একটির শিরোনাম ছিল 'শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম'।
এরপর পূজামণ্ডপে এ গান গাওয়ার ফলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সে রাতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম মণ্ডপ পরিদর্শন করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দেন।