বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ: পল্লী বিদ্যুতের ৬ কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ডে
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় করা পৃথক দুই মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পিবিএস) ছয় কর্মকর্তাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
তারা হলেন মুন্সিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২-এর বেলাল হোসেন।
এদের মধ্যে বেলাল হোসেনকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় এবং অন্য পাঁচজনকে পৃথক আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) খিলক্ষেত থানায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখা) আরশাদ হোসেন মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা/কর্মচারী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদতে নানান অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত আছে।
সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ, অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করেন। এ ঘটনায় বিআরইবি গতকাল সমিতির ২০ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে। এরই জেরে বিক্ষোভ ও সরাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা বিআরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, বরখাস্তের আদেশ বাতিল ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। দাবি আদায় না হলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।