আশুলিয়ায় শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, ৪ নারী পোশাককর্মী আহত
ঢাকার আশুলিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত চার নারী পোশাককর্মী আহত হয়েছেন।
তারা হলেন, হালিমা খাতুন, ববিতা আক্তার, মোর্শেদা খাতুন ও চম্পা খাতুন।
আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, কয়েকদিন ধরে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা। আজ সকালে কারখানার শ্রমিকরা নরসিংহপুরের সিনসিন মোড় এলাকায় জড়ো হয়ে আশেপাশের বিভিন্ন কারখানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক এইচ এম আসাফ-উদ-দৌলা রিজভী জানান, চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম। তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিকরা যখন পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে তখন সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।''
তিনি বলেন, "যেটা হতে পারে, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হলে সেটা যেখানে পড়ে সেখানে ইটের কণা বা টুকরা থাকলে তা ছিটে গিয়ে স্প্লিন্টারের মতো আঘাত করতে পারে। তেমনিভাবে হয়ত কারো হাতে বা কোথাও লেগেছে, যেটাকে গুলি বলা হচ্ছে। নিশ্চিতভাবে পুলিশ কোনো গুলি করেনি।"
মো. শামীম নামে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের এক শ্রমিক বলেন, "গতকাল পুলিশ শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আজ সকালে আন্দোলনরত শ্রমিকরা প্রথমে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। সেখান থেকে কোন ভাঙচুর বা কিছু ছাড়াই শ্রমিকরা নরসিংহপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় আশেপাশের আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরাও আমাদের সাথে যোগ দেন।"
তিনি বলেন, "আমরা বাংলাবাজার পৌঁছালে পুলিশ আমাদের উদ্দেশ্য করে গুলি করার পাশাপাশি রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কয়েকজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক।"