ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে চেঞ্জ করছি, অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি 'একটু উন্নতি' হলেও 'সন্তোষজনক নয়' বলে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একইসাথে ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে পরিবর্তন করা হয়েছে বিধায় তাদের অলিগলি চিনতে ও ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ (সোমবার) রাজধানীর পিলখানাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব জানান।
তিনি বলেন, "আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে একটু উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আরও উন্নতি হওয়া দরকার। খুব একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে যে চলে গেছে তা না। এখন যদি বলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন? সেটা জাস্ট সন্তোষজনক। কিন্তু এটা আরও ভালো হওয়া দরকার।"
পরিস্থিতির উন্নতিতে সময় চেয়ে তিনি বলেন, "যেহেতু আপনারা জানেন ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে আমরা চেঞ্জ করছি। তাদের কিন্তু অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে। তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক করতে সময় লাগবে।"
"বিজিবিতেও অনেক চেঞ্জ করা হয়েছে। এজন্য একটু সময় লাগছে। তবে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। সামনের দিকে আরও উন্নতি হবে", যোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "ক্রিমিনালকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া যাবে না। সে যতো প্রতাপশালীই হোক না কেন। আগে অনেক সময় অনেক প্রতাপশালী অপরাধী ছাড় পেয়ে যেত। সেটা আর হতে দেয়া যাবে না।"
বিজিবির উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, "জনগণের সঙ্গে একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক যেন বজায় রাখে। বিজিবির যেহেতু বর্ডারভিত্তিক কাজ করতে হয়, জনগণের সাথে একটা সুসম্পর্ক রাখতে হয়। জনগণের সাথে সুসম্পর্ক রাখলেই কাজ করতে সুবিধা হয়। তারাই কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে।"
এছাড়া সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্যের প্রবেশ ঠেকাতে জোর দিয়ে তিনি বলেন, "আপনারা জানেন সীমান্ত দিয়ে অনেক সময় ফেনসিডিলসহ অন্যান্য জিনিস চলে আসে। কোনো অবস্থায় যেন তা না আসে। এগুলো আমাদের জাতির অনেক অনেক ক্ষতি করছে।"
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সকালে রাজধানী ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে আসেন। সকাল ৯ টায় পিলখানাস্থ সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা ও সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান