আদানির সঙ্গে সব বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা, বাতিল চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তিগুলো পর্যালোচনা ও বাতিলের জন্য সরকারকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম কাইয়ুম এ নোটিশ পাঠান।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ডাকযোগে পাঠানো এ নোটিশে তিনদিনের মধ্যে চুক্তি পর্যালোচনা ও বাতিল প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানানো হয়েছে।
তা না হলে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার কাইয়ুম।
নোটিশে জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২৫ বছরের একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার আওতায় পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আদানির ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। সে সময় দেশে আমদানি করা কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রচলন ছিল না।
বিপিডিবির এক কর্মকর্তা ২০২৩–২৪ অর্থবছরের সর্বশেষ অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে জানান, আদানি পাওয়ার থেকে সরবরাহকৃত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে বাংলাদেশের প্রায় ১২ টাকা খরচ হয়।
এ দর ভারতের অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং দেশটির সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি।
এদিকে, আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনার পর বকেয়া বিল পরিশোধ না হলে ৭ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিল ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
তবে পরে আদানি গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানায়, তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধের দাবি করেনি।
জানা গেছে, বর্তমানে আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে।