শিশু মুনতাহা হত্যা: পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়া পাওয়া কুতুবজান মারা গেছেন
সিলেটের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তারের নানী কুতুবজান বিবি (৮১) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সিলেটের কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের ছাউরা গ্রামে বাবার বাড়িতে মারা যান তিনি।
গত রোববার (১০ নভেম্বর) মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশ কুতুবজানকে আটক করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সেলিম আহমদ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কুতুবজানকে পুলিশ সোমবার তার জিম্মায় দিয়েছিল।
'কিন্তু কুতুবজান চলাফেরা করতে পারতেন না। সেজন্য তাকে দেখাশোনার জন্য তার বাবার বাড়িতে ভাইয়ের জিম্মায় রাখা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান,' বলেন সেলিম।
এদিকে মুনতাহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামির রিমান্ড চলছে। থানা হাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামসুল আরেফিন জিহাদ ভূঁইয়া।
তিনি জানান, পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে। 'ইতোমধ্যে কিছু তথ্য দিয়েছেন তারা। তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না।'
রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলেন নিহত মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তার সুমি ওরফে শামীমা (২৫), তার মা আলিফজান বেগম (৫৫), প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।
রোববার সকালে মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আলিফজান একটি শুকনো খালে পুঁতে রাখা মুনতাহার মরদেহ অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করছিলেন। তখন তাকে আটক করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা মার্জিয়া আক্তারের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
গত ৩ নভেম্বর কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে মুনতাহা নিখোঁজ হয়েছিল। তার নিখোঁজের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তার সন্ধান চেয়ে দেশ-বিদেশে পুরস্কারের ঘোষণা দেন অনেকে।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল জানান, কুতুবজানকে বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এবং জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ইউপি সদস্যের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।