হাসিনা সরকারের 'ব্লকড লিস্ট'-এর কারণে হয়রানির শিকার হন নূরুল কবির
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পক্ষ থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবিরের ওপর পুলিশের হয়রানির ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঘটনার পর এসবি বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
পুলিশের বিশেষ শাখা আরও জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে তৈরি করা 'ব্লকড লিস্ট'-এর কারণে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। এ তালিকায় কয়েক হাজার ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যাতে তাদের বিদেশ সফর আটকে দেওয়া বা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা সম্ভব হয়।
এসবি'র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশেষ শাখা রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত ব্যক্তি, ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীদের ব্লক লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া শুরু করেছে।
এছাড়াও বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া হাতে-কলমে করার কারণে কিছু ভিন্নমতাবলম্বী এবং সাংবাদিকের নাম এখনও এতে রয়ে গেছে। তবে, তালিকাটি দ্রুত যাচাই করে সংশোধন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এসবি দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ বাহিনী দৃষ্টান্ত গড়তে চায়।
এর আগে, নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং, এবং এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না।
সাংবাদিক নূরুল কবির কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এশিয়া মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে ১৮ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন। ২২ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি।
গতকাল শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, তিনি এই সপ্তাহে দুইবার বিমানবন্দরে পুলিশের হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এছাড়াও, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলেও নিয়মিত ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হেনস্তার শিকার হতেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।