হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
দক্ষিণ এশিয়ার কার্প জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে একটি মৃত গাঙ্গেয় ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। ২০২৪ সালে এই নিয়ে নদীটি থেকে চতুর্থ মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হলো।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার আজিমের ঘাট সংলগ্ন নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির এই প্রাণীটি উদ্ধার করা হয়।
হালদা ডিম সংগ্রহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোশঙ্গীর আলম বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস)-কে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'নদীতে একটি মৃত ডলফিন ভাসতে দেখে আমরা সেটি উদ্ধার করে হালদা নদী গবেষণা ল্যাবরেটরি ও স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তাকে খবর দেই। ল্যাবরেটরি ও মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা বিকেলে এসে ডলফিনটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মাটিতে পুঁতে রাখেন।'
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানান, ডলফিনটি ৪৫ ইঞ্চি লম্বা এবং ওজন ১৩ দশমিক ৩৯ কেজি।
তিনি বলেন, 'ডলফিনটি দুই-তিন দিন আগে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই এর দেহ পচতে শুরু করেছে।'
ড. কিবরিয়া বলেন, 'এ বছর হালদা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া এটি চতুর্থ মৃত ডলফিন।'
তিনি বলেন, '২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আরও ১০টি পাওয়া গেছে, ২০২১ সালে পাঁচটি এবং ২০২২ সালে ছয়টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। এ বছর চারটি ডলফিনসহ ২০১৭ সাল থেকে হালদা নদীতে মোট ৪৩টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।'
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে গাঙ্গেয় ডলফিনের বসবাস। স্থানীয়ভাবে এরা 'হুতুম' বা 'শুশুক' নামে পরিচিত।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ধারা ১-এর আওতায় এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।