আইনজীবী সাইফুল হত্যামামলার ১০ আসামিকে আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যামামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামিকে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনের আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সকালে শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেন দেন।
আসামিরা হলেন, চন্দন দাস, রুমিত দাস, বিশাল দাস, রাজিব ভট্টাচার্য, আমান দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস ও মনু দাস।
আইনজীবী আলিফ নিহতের ঘটনায় তার ভাই জানে আলম বাদী হয়ে গত ৩০ নভেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানায় ১১৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০০ জনকে আসামি করে হামলা, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।
এ মামলায় আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দন দাসসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হত্যামামলায় গ্রেপ্তার ১০ অভিযুক্তকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নাকচ করে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন চিন্ময়ের অনুসারীরা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেন বিক্ষোভকারীরা।
পরে নিহত আইনজীবীর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫জনকে আসামি করে হত্যামামলা করেন।
গ্রেপ্তার চন্দন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্যসহ তিন আসামি আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।