মেঘনা নদীতে জাহাজ থেকে মরদেহ উদ্ধার: হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু, মোট মৃত্যু ৭
মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় একটি মালবাহী লাইটার জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। এদিকে আহত হওয়া আরও তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে, সেখানে দুজন মারা যান।
আজ সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা এলাকায় আল-বাকিরা নামের জাহাজটি থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে টিবিএসকে জানান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাকিউল আহসান। মুমূর্ষু অবস্থায় আরো তিনজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
তাকিউল আহসান বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে দুপুরের দিকে হাইমচরের মাঝেরচরের ইশানবালা এলাকায় ঘটনাস্থলে যান তারা। জাহাজে গিয়ে তারা দেখতে পান আটজনকে আলাদা আলাদা কেবিনে চাদর-কম্বল দিয়ে ঢেকে দেওয়া আছে। দেখে মনে হচ্ছিল, তারা ঘুমাচ্ছে। কাছে গেলে দেখা যায় তাদের মাথায় গুরুতর আঘাত আছে।
কোস্টগার্ড প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
তাকিউল আহসান আরও বলেন, "সারবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো, পথে কোনো ডাকাত দলের কবলে পড়ে থাকতে পারে জাহাজের কর্মীরা।"
এদিকে, নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, পণ্যবাহী নৌযানটিতে থাকা ব্যক্তিদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তারা সন্দেহ করছেন, শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
নৌ পুলিশ জানায়, নৌযানটি মেঘনা নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। সেটিতে সার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নিহত ব্যক্তিরা জাহাজের চালক ও অন্যান্য কর্মী হতে পারেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তারা আজ বেলা তিনটার দিকে নৌযানটির কাছে যান। সেখানে গিয়ে নৌযানের পাঁচটি কক্ষে পাঁচজনের লাশ পান। বাকি তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। মোট আটজন মানুষই জাহাজে ছিলেন। নৌযানটির নাম এমভি আল-বাকিরা। এর মালিক মেসার্স এইচপি এন্টারপ্রাইজ।