সচিবালয়ে আগুনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, স্থানীয় সরকার ও ডাক মন্ত্রণালয়
সচিবালয়ের আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর। ৭ নম্বর ভবনের আট তলায় অবস্থিত সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সাত তলায় থাকা ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগের দপ্তর আগুনে পুড়ে গেছে।
এসব দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের এই তলাতে সবচেয়ে বেশি আগুন লেগেছে। আগুন নেভাতে সেখানে পানিও বেশি ছিটানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ফলে দপ্তরে থাকা নথিপত্র আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সিস্টেম।
এছাড়া নয়তলা ও ছয় তলা এবং পাঁচতলাতেও ক্ষতি হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মকর্তারা ও ফায়ারসার্ভিসের কর্মকর্তারা মিলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করছেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানানো হবে।
শ্রম সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল দশটার দিকে তার দপ্তরে প্রবেশ করেন। তিনি টিবিএসকে বলেন, "ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনো নেয়া সম্ভব হয়নি। মাত্র এলাম। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে জানানো হবে।"
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা নোবেল দে বলেন, "এই বিভাগটি আগুনে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা হিসাব করে জানাবো।"
সকাল ১০ টা পর্যন্ত সচিবালয়ের সকল প্রবেশ গেট খুলে দেওয়া হয়নি। জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত পাশের গেট দিয়ে কর্মকর্তারা প্রবেশ করছেন।
আগুনের ঘটনায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, "বিগত সময়ে হওয়া অর্থলোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি।"
আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমাদেরকে ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। এই মুহুর্তে আছি নীলফামারিতে, যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা ব্যাক করছি।"