একদিন পর সচিবালয়ে প্রবেশের সুযোগ পেলেন সাংবাদিকরা
একদিন বন্ধ রাখার পর সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্যদের এই সুযোগ দেওয়া হয়।
এর আগে, গতকাল (২৯ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বিএসআরএফ নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিএসআরএফ সদস্যসহ সচিবালয়ে নিয়মিত কাভার করা সাংবাদিকদের অস্থায়ী পাস দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
এর প্রেক্ষিতে আজ সকাল থেকে সাংবাদিকরা সচিবালয়ের ২ নম্বর গেটে জড়ো হন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি তালিকা পাঠানো হয় গেটে। সেই তালিকা অনুযায়ী উপস্থিত সবাইকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রবেশের পর দেখা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাত নম্বর ভবনের কোনো দপ্তরেই কাজ হচ্ছে না। ভবনের সব গেট তদন্তের স্বার্থে বন্ধ রাখা হয়েছে। ৭০০ ফুট লম্বা এই ভবনে চারটি প্রবেশ গেট এবং দোতলা ও চারতলায় অন্য ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত দুটি গেট রয়েছে। সবকটিই বন্ধ রয়েছে।
সচিবালয়ে সাধারণ দর্শনার্থী নেই। কর্মকর্তাদের গাড়িও সচিবালয়ের ভেতরে রাখা হয়নি। শুধু সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অল্প কিছু গাড়ি দেখা গেছে। ফলে সচিবালয়ের সাধারণ চেহারা— গাড়ির ভিড় এবং মানুষের ছোটাছুটি আজ আর দেখা যাচ্ছে না।
সাত নম্বর ভবনের ৬, ৭, ৮, এবং ৯ তলা আগুনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই তলাগুলোতে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের অফিস ছিল।
নিচতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কিছু অংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অফিস ছিল। এসব দপ্তর বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও নিরাপত্তা ও তদন্তের স্বার্থে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বেশিরভাগ কর্মীকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েকজন কর্মকর্তা সচিবালয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে। তারা অন্য দপ্তরে কাজ করছেন।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আজ সরকারের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট দেবে।