একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা কী ছিল, প্রশ্ন রিজভীর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের দেশের দুটি 'পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি'র একটি হিসেবে তাদের দলকে দাবি করাকে কটাক্ষ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিএনপির এক অনুষ্ঠানে তিনি মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
রিজভী বলেন, 'একটি রাজনৈতিক দল বলেছে, তারা এবং সেনাবাহিনীই [একমাত্র] দেশপ্রেমিক। সেনাবাহিনী নিঃসন্দেহে দেশপ্রেমিক, কারণ তাদের পূর্বসূরিরা এ বাংলাদেশ গড়ার জন্য জীবন দিয়ে লড়াই করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জিয়াউর রহমান, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।'
জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'আমি সেই ইসলামী রাজনৈতিক দলটিকে বলতে চাই: ১৯৭১ সালে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল? কোন সেক্টরে, কোন কমান্ডারের অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন?'
গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে রংপুরে জামায়াত আয়োজিত এক পথসভায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, 'দেশে পরীক্ষিত দুটি দেশপ্রেমিক শক্তি আছে, এর একটা সেনাবাহিনী আরেকটা জামায়াতে ইসলামী।'
রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'দেশে একটি রাজনৈতিক দল ছাড়া আর কেউ দেশপ্রেমিক নয়—এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য মানুষকে হাসাবে, এর বেশি কিছু নয়।'
রিজভী দলের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলকে এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারের হাতে উপহার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে রিজভী নতুন পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত না থাকার বিষয়ে সমালোচনা করেন।
তবে তিনি আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং জিয়াউর রহমানের ওপর অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগকে প্রশংসা করেন।