ব্যাংকে শমী কায়সারের সব ধরনের হিসাবের তথ্য জানতে চেয়েছে বিএফআইইউ
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি শমী কায়সারের ঋণ, আমানতসহ সব ধরনের আর্থিক তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ব্যাংকগুলোতে পাঠানো এক চিঠিতে আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে এসব তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, শমী কায়সারের নামে পরিচালিত সব ধরনের হিসাবের বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল ফরম, টিপি এবং সংশ্লিষ্ট দলিলাদি বিএফআইইউতে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ঋণ হিসাবের মঞ্জুরিপত্র, লকার হিসাব এবং আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত সব তথ্যের সফট কপিও জমা দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য প্রেরণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট শাখায় কোনো হিসাব নেই বলে ধরে নেওয়া হবে। পরবর্তীকালে কোনো অসামঞ্জস্যতা পাওয়া গেলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট শাখাকে বহন করতে হবে।
দেশের ই–কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-ক্যাবের সভাপতির পদে ছিলেন শমী কায়সার। ১৪ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাবের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ৬ নভেম্বর উত্তরার একটি বাসা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে বন্দি আছেন।