কমিশনের সুপারিশ: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ৪ বছর এবং দুবারের বেশি হতে পারবেন না
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা অনুসারে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ হবে চার বছর এবং তিনি দুইবারের বেশি এ পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না বলে সুপারিশ করা হয়েছে। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হবেন আইনসভার নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনের ভিত্তিতে।
আজ বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন সংবিধান সংশোধনের জন্য গণভোটের বিধান পুনর্বহালের প্রস্তাবও করেছেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়- রাষ্ট্রপতির মেয়াদ হবে চার বছর এবং তিনি দুইবারের বেশি এ আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচকমণ্ডলীর (ইলেক্টোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।
ইলেক্টোরাল কলেজ বা ভোটারদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচক মন্ডলী আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য প্রতি একটি করে ভোট; প্রতিটি 'জেলা সমন্বয় কাউন্সিল' সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট [উদাহরণ: ৬৪ টি 'জেলা সমন্বয় কাউন্সিল' থাকলে ৬৪ টি ভোট]; প্রতিটি 'সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল' সামষ্টিক ভাবে একটি করে ভোটের মাধ্যমে এটি গঠিত হবে।
সুপারিশের রাষ্ট্রপতি অভিশংসনের বিষয়েও বলা হয়েছে- রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অসদাচরণ বা সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করা যাবে। আর এ অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হবে নিম্নকক্ষ থেকে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুপারিশে বলা হয়েছে- আইনসভার নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হবেন। আইনসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে কিংবা আস্থা ভোটে হেরে গেলেই শুধু মাত্র ওই পদ থেকে সরে যেতে পারবেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি কোনো কারণে আইন সভা ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিলেও প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে বলা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। তিনিও রাষ্ট্রপতির মতো দুইবারের অধিক এক পদে থাকতে পারবেন না। আর প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি কোনো দলের প্রধান বা সংসদ নেতা হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।